0 0
Read Time5 Minute, 18 Second
যারা পড়াশোনা করার জন্য আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে আসছেন, তাদের জন্য ‘কী আনতে হবে, কী হবে না’ সে বিষয়ক বেশ কিছু তালিকা আছে বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা বিষয়ক গ্রুপে। সেসব তালিকায় কিছু বাড়তি জিনিস যোগ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। বিদেশে আসার পর প্রাথমিকভাবে যখন টাকাপয়সার টানাটানি থাকে, তখনকার জন্য এই তালিকা। এসব জিনিস অতি অবশ্যই আমেরিকায় পাওয়া যায় এবং টাকা জমলে আমেরিকা থেকেই কিনতে পারা যাবে। তাই দয়া করে কেউ মন্তব্য করবেন না, “এসব জিনিস আবার দেশ থেকে আনতে/করে আসতে হয় নাকি? আমেরিকায় এসব পাওয়া/করা যায় না?”
১) কারো যদি অলংকার পরার অভ্যাস থাকে (মাটির, ইমিটেশনের, পুঁতির, ধাতুর তৈরি কানের দুল, গলার মালা, চুড়ি, ব্রেসলেট ইত্যাদি), তাহলে দেশ থেকে কিনে আনা হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এখানে গয়নাগাটির ভালই দাম, মনের মতও পাওয়া যায় না। একটা সাধারণ নেকলেস বা ব্রেসলেটের দাম কমপক্ষে পাঁচ ডলার। অথচ একই দামে দেশে ভারী গয়না পাওয়া যায়।
২) চুল বাঁধার জন্য বিভিন্ন রঙের রাবারব্যান্ড, কালো ক্লিপ, হেয়ারব্যান্ড ইত্যাদি আনবেন।
৩) চুলে রঙ/ডাই করতে চাইলে দেশ থেকে করে আসতে পারেন। এখানে বেশ ব্যয়বহুল।
৪) কানে/নাকে ফুটা করতে চাইলে দেশ থেকে করে আসতে পারেন। এখানে বেশ ব্যয়বহুল।
৫) বুট জুতা, কেডস, স্নিকারস এখানেই কম দামে ভাল মানের পাবেন। দেশ থেকে প্রাথমিকভাবে পরার জন্য একটা কেডস বা স্নিকারস আনতে পারেন। এক/দুইমাসের মধ্যে এখান থেকে ভাল জুতা কিনে নেবেন।
বাঙালি পোশাকের সাথে পরার জন্য বাঙালি স্টাইলের এক সেট জুতা আনলে ভাল।

মেয়েদের জন্য বিশেষ সংযোজন

১) স্যানিটারি প্যাড আনবেন প্রথম দুইমাসের জন্য। এই দুই মাসে বুঝে যাবেন আমেরিকার কোন পণ্য আপনার জন্য উপযুক্ত।
২) চার/পাঁচ সেট আন্ডারওয়্যার আনবেন। এখানে এগুলোর বেশ দাম। তবে এটা ঠিক, দাম বেশি হলেও এক বছর পর দেখবেন এগুলিই কিনছেন, পরছেন। যে দেশে যে স্টাইল চলে, নিজের অজান্তেই সেটায় গা ভাসানো হয়ে যায়।
৩) কয়েক সেট শাড়ি, ব্লাউজ, পেডিকোট, সালোয়ার কামিজ, ফতুয়া ইত্যাদি বাঙালি পোশাক নিয়ে আসবেন যেন উৎসবে পরতে পারেন। কয়েক পাতা সেফটিপিন আনবেন।
৪) যদি বিভিন্ন স্টাইলে চুল বাঁধার নেশা থাকে, তাহলে বিভিন্ন আকারের আর ঢংয়ের পাঞ্চ ক্লিপ, নরমাল ক্লিপ নিয়ে আসবেন। এখানে দেশের মত রংঢঙের পাঞ্চ ক্লিপ দেশের মত সস্তায় পাবেন না।
৫) কস্মেটিক্স (মেকাপ, লিপস্টিক, আইলাইনার-সহ অন্যান্য যা আছে) আমেরিকায় এসে কিনবেন। এখানে সাধ্যের মধ্যে এক নম্বর জিনিস পাবেন। দেশ থেকে সস্তায় বা দাম দিয়ে দুই নম্বুরি জিনিস কেনার মানে হয় না।
৬) দেশে জামাকাপড় সস্তা বলে প্রচুর জামা কিনে আনার পক্ষপাতী আমি নই। দেশে যা পাওয়া যায় সেগুলো আমেরিকার চলমান ফ্যাশনের সাথে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ, সেটা বুঝতে পারাটা বেশ শক্ত। যদি পারেন, দেশে থাকাকালে ওয়ালমার্টের ওয়েবসাইট ঘুরে পশ্চিমের হালফ্যাশন সম্পর্কে জেনে নিন, তারপর সে অনুযায়ী কেনাকাটা করুন। আর যদি ফ্যাশন সম্পর্কে মাথাব্যথা না থাকে, তাহলে যা খুশি পরতে পারেন। এখানে কেউ কারো পোশাক নিয়ে মাথা ঘামায় না। তবে আমেরিকা আসার পর এদেশের ফ্যাশন অনুযায়ী জামা কাপড় কেনার ইচ্ছে হওয়াটা খুব স্বাভাবিক।
বিঃদ্রঃ
১) তালিকাটা আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে বানানো। সবার অভিজ্ঞতার সাথে নাও মিলতে পারে।
২) আরও কোনো জিনিসের কথা মাথায় এলে মন্তব্যে জানানোর অনুরোধ করছি।
সবাইকে ধন্যবাদ।
Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
100 %
Previous post পিএইচডিতে অ্যাপ্লাইয়ের আগে প্রফেসরদের ইমেইল দেওয়ার নমুনা
Next post খোঁজাখুঁজি সিরিজঃ স্ফিংসের খোঁজে