0 0
Read Time17 Minute, 26 Second

পর্ব ১

দুপুর একটা বাজে। আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত পাঁচটার ফ্লাইটে উঠার জন্য। শেষ মুহূর্তের ব্যাগ গোছানোও শেষ। ব্যাগ বলতে শুধু আমার ব্যাকপ্যাক। প্রিন্স একটা ক্রসওভার ব্যাগ ছাড়া কিছু নেয়নি। আমিও ব্যাকপ্যাক নিতে চাচ্ছিলাম না। কে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে ঘুরতে পছন্দ করে? কিন্তু ক্রসওভার ব্যাগে চার্জার, ব্রাশ-পেস্ট, আন্ডারওয়্যার, I-20 (এক ভাই বলেছিলেন, ভিন্ন অঙ্গরাজ্যে গেলে নিরাপত্তার জন্য I-20 সাথে রাখা ভালো) সহ টুকটাক জিনিসপত্র আঁটাতে পারছি না। তাই একটা ব্যাকপ্যাক নিতে হল। সেটার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা কতখানি হবে, সে পরিমাপ দেওয়া আছে ফ্রন্টিয়ারের ওয়েবসাইটে। আমরা পইপই করে মিলিয়ে নিলাম। সঠিক পরিমাপ হতে হবে যেন সিটের নিচে ব্যাগটা এঁটে যায়। এবার বুঝলাম কীভাবে এত সস্তায় ডিল দিচ্ছে ফ্রন্টিয়ার। ওরা টিকেটের সাথে কোনো ফ্রি চেকড-ইন ব্যাগ বা কেবিন ব্যাগ নিতে দেয় না। এগুলো নিতে চাইলে আপনাকে অতিরিক্ত ডলার দিতে হবে। ওরা শুধু একটা পার্সোনাল আইটেম ফ্রি নিতে দিবে। সেটা হতে পারে নির্দিষ্ট পরিমাপের ভেতর যেকোনো ব্যাগ। তাছাড়া ওরা যাত্রার সময় ফ্রি মিলও দেবে না। কিছু খেতে চাইলে কিনে খেতে হবে। এভাবেই টিকেটের দাম কমানো সম্ভব হয়েছে। আমাদের অবশ্য এগুলোতে কোনো সমস্যা হল না। একে তো আমরা ভ্রমণের সময় লাইট ট্র্যাভেল করতে চাই, তার উপর খানা না পেলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে, এমনটাও না। মাত্র চার ঘণ্টার যাত্রা। খাওয়া ছাড়া দিব্যি কেটে যাবে।

কাগজে কলমে পাঁচটা থেকে সাতটা পর্যন্ত দেখালেও আসল যাত্রা হবে চার ঘণ্টার। কারণ সেন্ট লুইস আর লাস ভেগাসের টাইম জোন আলাদা। সেন্ট লুইস চলে সেন্ট্রাল টাইম জোনের হিসেবে আর ভেগাস চলে প্যাসিফিক টাইম জোন মাফিক। সে হিসেবে ভেগাস আমাদের থেকে দুই ঘণ্টা পিছিয়ে। যখন ভেগাসে বাজবে সন্ধ্যে সাতটা, তখন সেন্ট লুইসে বাজবে রাত নয়টা। মানে আমরা দুই ঘণ্টা অতিরিক্ত জার্নি করব ঠিকই কিন্তু নামার সময় হিসেবে লেখা থাকবে ভেগাসের লোকাল টাইম। আমি ফ্রন্টিয়ারের অ্যাপ নামিয়ে বাসায় বসেই চেকইন করে বোর্ডিং পাস নিয়ে ফেললাম। ই-বোর্ডিং পাস। সেটায় বারকোড দেওয়া আছে। বারকোডটা বোর্ডিংয়ের সময় স্ক্যানারে স্ক্যান করলেই হয়ে গেল। অনেকেই বিমানবন্দরে গিয়ে চেক-ইন করতে পছন্দ করেন। সেক্ষেত্রে মেশিনে পাসপোর্ট বা আইডি স্ক্যান করলে মেশিন একটা বোর্ডিং পাস প্রিন্ট করে দেয়। কিন্তু কাগজের বোর্ডিং পাস হাতে নিয়ে ঘুরার চেয়ে মোবাইলে ই-বোর্ডিং পাস নিয়ে ঘুরা আমার কাছে সহজ মনে হয়। তাই আমি যে এয়ারলাইন্সে ভ্রমণ করি, তাদের অ্যাপ নামিয়ে সেটার মাধ্যমে চেক-ইন করি। এটা সময় বাঁচায়, মেশিনের পিছে লাইন ধরার ভোগান্তি হয় না, সহজভাবে করা যায়। দেশে থাকতে আমি এই প্রক্রিয়ার কথা জানতাম না। তাই চেকইন করার জন্য অনেক আগে এসে বসে থাকতাম বিমানবন্দরে। দেশে চেক-ইন করিয়ে দেওয়ার জন্য অফিসাররা বসে থাকেন। একে বলে ট্র্যাডিশনাল চেক-ইন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে এসে দেখি অটোমেটেড চেক-ইন। যেদিন প্রথমবারের মত আমেরিকায় পা দিলাম, সেদিন শিকাগোর ও’হেয়ার বিমানবন্দরে আমাদের ট্রানজিট ছিল। ওখানে মেশিনের মাধ্যমে নিজেদেরই চেক-ইন করতে হল। এটা অটোমেটেড চেক-ইন। প্রযুক্তি যে জীবনকে কতটা সহজ করে দিয়েছে, অবিশ্বাস্য।

যা হোক, মনের আনন্দে যখন একটু পরপর লাফ দিয়ে উঠছি, তখন প্রিন্স আমাকে বলল, ‘বোর্ডিংয়ের সময়টা একটু চেক করে দেখ তো! আমাকে এইমাত্র ইমেইল দিল ফ্লাইট ডিলে হওয়ার ব্যাপারে।’ বুকটা ধক করে উঠল। দ্রুত অ্যাপে ঢুকে বোর্ডিং টাইম চেক করে দেখি, ঠিকই। আগে বোর্ডিং ছিল চারটায়, এখন হয়েছে সাড়ে ছয়টায়। যে ফ্লাইট ছাড়ার কথা ছিল পাঁচটায়, সেটা ছাড়বে সাড়ে সাতটায়। কেন ডিলে হল, লেখা নেই। ধরে নিলাম দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াই এর কারণ। সকাল থেকে সেন্ট লুইসে বৃষ্টি হচ্ছে। তুমুল না, মাঝারি। পূর্বাভাস বলছে, সারাদিন এরকম থাকবে। মনটা খারাপ হয়ে গেল। যে উত্তেজনা নিয়ে সারা সকাল কাটালাম, হঠাৎ করে সেটায় পানি পড়ল। আক্ষরিক অর্থেই। বাড়তি সময় পেয়ে ধীরে সুস্থে ভাত খেলাম, বিছানায় গড়াগড়ি করলাম, পুরো পরিকল্পনায় ঈগলের চক্ষু বুলালাম। কোনো ভুল ধরা পড়ল না। চারটার দিকে ঠিক করলাম আর এক ঘণ্টা পর বের হব। ট্রেন স্টেশনে হেঁটে যেতে লাগে পনেরো মিনিট। সোয়া পাঁচটায় পৌঁছালে পাঁচটা বিশের ট্রেন ধরতে পারব। সেটায় করে সেন্ট লুইসের ল্যাম্বার্ট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাতে লাগবে ত্রিশ মিনিট। এরপর সিকিউরিটি চেকের জন্য হাতে সময় থাকবে আধা ঘণ্টা।

ভালোয় ভালোয় বিমানবন্দরে পৌঁছলাম। পৌঁছেই প্রিন্স বলল, ওর খিদে পেয়েছে। এয়ারপোর্টে বেশি দামের কারণে কিছু কিনে খেতে মন চায় না। কিন্তু টাকা কামাই করি সুখের জন্য। না খেয়ে যদি টাকা বাঁচাতে হয়, তাহলে কেমন দাঁড়ালো? দামের গুষ্টি কিলিয়ে ঢুকে পড়লাম সস্তা খাবারের দোকানে। পাশেই স্টারবাক্স। কিন্তু দাম বেশি বলে গেলাম না। সস্তা দোকান থেকে একটা কফি, দুটো মাফিন কিনলাম। দশ ডলার চলে গেল। ডাকাইত্যা কারবার। বাইরে সব মিলিয়ে ছয় টাকা যেত। আমি তেমন খেতে পারলাম না। কেন জানি শরীর ভালো লাগছে না। মাফিনের অর্ধেক খেয়ে প্রিন্সকে দিয়ে দিলাম। কফি দেখে বমি চলে আসছে, খাব কি? এমন কেন হচ্ছে, বুঝতে পারছি না। প্লেন জার্নি আমার ভালো লাগে না ঠিকই, কিন্তু এতটাও খারাপ লাগে না যে, বমি পেয়ে যাবে। জীবনের প্রথম দুটো উড়োজাহাজ ভ্রমণ চমৎকার লেগেছিল।না চমৎকার না, লেগেছিল উত্তেজনাকর। নিজেকে খুব এলিট এলিট মনে হচ্ছিলো। ভাবখানা এমন যেন জাতে উঠলাম। মধ্যবিত্ত বাঙালির চিন্তাভাবনা। এরপর তো দুনিয়ার জিনিস জানলাম। ফার্স্ট ক্লাস তো অন্য জিনিস, যে ইকোনমি ক্লাসে আমি যাতায়াত করি, সেটারও কত রকম সকম! এখন আর উড়তে ভালো লাগে না। খুব খারাপ লাগে। টানা বসে থাকা সহজ বিষয় না। গাড়িতে লং ড্রাইভে গেলেও মানুষ একটু পরপর থেমে হাত-পা ঝেড়ে নেয়। প্লেনে কয়বার আপনি সিট থেকে উঠে অন্যদের অসুবিধা করে আইল ধরে হাঁটবেন? যখন আমার প্লেনে উঠার অভিজ্ঞতা ছিল না, তখন একজনের মুখে “প্লেন জার্নি হল সবচেয়ে বিচ্ছিরি জার্নি” শুনে ভেবেছিলাম ঢং আর কাকে বলে! বেশি শো-অফ করছে ব্যাটা। কিন্তু এখন ঐ লোকের সাথে আমি একাত্ম।

খাওয়া শেষে সিকিউরিটি চেকিংয়ের দিকে এগুলাম। পাঁচটা এয়ারলাইন্সের যাত্রী মিলে এক লাইনে দাঁড়িয়েছে। সিকিউরিটি অফিসার আইডি চেক করছেন কিন্তু বোর্ডিং পাস দেখতে চাচ্ছেন না। আইডি মিলিয়ে যাত্রীদের ছেড়ে দেওয়ার পর সবাইকে পা থেকে জুতো, গা থেকে জ্যাকেটসহ সব ধরনের গরম জামা, কাঁধ থেকে ব্যাগ, হাত থেকে ঘড়ি, কোমর থেকে বেল্ট, ব্যাগের ভিতর থেকে ল্যাপটপ, আইপ্যাড, মোবাইল ইত্যাদি বের করে তুলে রাখতে হচ্ছে ট্রেতে। সেই ট্রে কনভেয়ার বেল্ট দিয়ে চলে যাচ্ছে স্ক্যানারের ভিতর। এদিকে যাত্রীকে ঢুকতে হচ্ছে একটা গোলাকার স্ক্যানারে। দুই হাত মাথার উপরে তুলে দাঁড়াতে হচ্ছে। অফিসার যখন বের হতে বলছেন, তখন বের হচ্ছে। আমি আর প্রিন্সও সবকিছু উৎরে গেলাম। কেডস, জ্যাকেট পরে রওনা দিলাম নির্দিষ্ট গেটের দিকে।

যখন নির্ধারিত গেটে পৌঁছলাম, ঘড়িতে বাজে সাতটা। গিয়ে দেখি, মাত্র আগের ফ্লাইট থেকে যাত্রীরা নামছে। সাতটা বিশ পর্যন্ত কেবল আগের ফ্লাইটের কাহিনীই দেখলাম। এরপর শুরু হল আমাদের বোর্ডিং। দ্রুত বাথরুম সেরে এসে লাইনে দাঁড়ালাম। আমরা পড়েছি চার নাম্বার জোনে। এক নাম্বার জোনের মানুষজন বাড়তি টাকা দিয়ে চেকড-ইন লাগেজ বা কেবিন লাগেজ কিনেছে। এজন্য তাদের খাতির বেশি। তাদেরকে সবার আগে ঢুকাচ্ছে। আমরা হলাম গিয়ে গরীবের গরীব, তস্য গরীব। মোট পাঁচটা জোনের মধ্যে আমরা চতুর্থ। একসময় পালা এল। বারকোড স্ক্যান করে ঢুকে পড়লাম প্যাসেঞ্জার বোর্ডিং ব্রিজের ভেতর। সাধারণ ভাষায় একে জেটব্রিজ বা জেটওয়ে (ছবি দ্রষ্টব্য) বলে। এটা বিমানবন্দরের টার্মিনাল গেটের সাথে উড়োজাহাজকে সংযুক্ত করে। ছোটবেলায় কখনো এই জিনিস দেখেছি বলে মনে পড়ে না। তখন দেখতাম মানুষ প্লেনের সিঁড়ি বেয়ে ভিতরে ঢুকছে। বড় হওয়ার পর যখন এই ঢং দেখলাম, তখন যেন প্লেনে উঠার অর্ধেক মজাই নষ্ট হয়ে গেল।

টিকেট কাটার সময় প্রিন্স বলেছিল, পাশাপাশি সিট বুক করতে চাইলে বাড়তি ডলার গুনতে হবে। শুনে বলেছিলাম, দরকার নেই পাশাপাশি সিটের। মাত্র চার ঘণ্টার ভ্রমণ। অন্য বেটাবেটির পাশে বসে চলে যাব। কিন্তু যখন অ্যাপের মাধ্যমে চেক-ইন করলাম, তখন পাশাপাশি সিটই পেলাম। যদি বাড়তি টাকা খরচ করে পাশাপাশি সিট নিতাম, তাহলে আফসোসের সীমা থাকত না। অবশ্য সবসময় যে চেক-ইনের সময় এরকম ঘটবে, তা বলা যায় না। সিটে বসে খেয়াল করলাম, মোটেও সেগুলো তিন নাম্বার বাসের মত নয়। খুব সুন্দর, টাইটফিট সিট। অন্য প্লেনে যেমন একটু গদি টাইপ সিট থাকে আরামের জন্য, এখানকার সিটগুলো শক্ত গড়নের। লেগরুমও যথেষ্ট পরিমাণে আছে। পা ছড়িয়ে বসা যাচ্ছে। প্লেনটাও বেশ বিস্তৃত। যা কিছু ভেবেছিলাম কম দামী টিকেট দেখে, তার সাথে কিছুই মিলল না। ঠিক করলাম, ভবিষ্যতের ছোটখাট আকাশ ভ্রমণগুলো সব ফ্রন্টিয়ারের মাধ্যমেই করব। এরা নিজেদের সাস্টেইনেবল এয়ারলাইন্স বলে দাবী করছে। এরা যাত্রীদের আজেবাজে জিনিস দিয়ে ভরা লাগেজ নিতে অনুৎসাহিত করে। এজন্যেই ছোট্ট একটা ব্যাকপ্যাককে ফ্রি রেখে বাকিগুলোতে বাড়তি ডলার বসিয়ে দিয়েছে। এর ফলে যা হয়েছে, সেটা পরিবেশবাদী হিসেবে আমার জন্য বেশ সুখকর। এর ফলে যাত্রীরা চেকড-ইন লাগেজ বেশি আনে না। বেশীরভাগই শুধু ব্যাকপ্যাক আর কেবিন লাগেজ আনে। ফলে প্লেনকে খুব বেশি ওজন বহন করতে হয় না। এতে করে সে জ্বালানি বাঁচাতে পারে। জ্বালানি বাঁচলে কার্বন নিঃসরণ কম হয়। ফলে সাস্টেইনিবিলিটি বাড়ে। কী পাঠক, জোরে কন ভালো কিনা?

যে প্লেন ছাড়ার কথা ছিল সাড়ে সাতটায়, সেটা ছাড়ল রাত আটটায়। ভেগাস পৌঁছাবে রাত দশটায়। ফলে আমাদের পরিকল্পনায় কিছু রদবদল হল। ভেগাসে নেমে এখন আর ঘুরাঘুরি সম্ভব না। সরাসরি এয়ার বিএনবিতে চলে যেতে হবে। ইউটিউব দেখে একটা কৌশল জেনেছিলাম যে, ম্যাককারান এয়ারপোর্টে নেমে ট্যাক্সি না ধরে উবার বা লিফট ধরতে হবে। ট্যাক্সিতে আপনি আগেই জানতে পারছেন না কত ডলার বিল আসবে। তাছাড়া চালককে বলে দিতে হবে, এদিক দিয়ে না গিয়ে ওদিক দিয়ে যান, ইত্যাদি। কিন্তু উবার বা লিফটে সে ঝামেলা নেই। আপনি মোবাইলের মাধ্যমেই গন্তব্য জানিয়ে দিচ্ছেন। যে রাজি হচ্ছে, সে আপনাকে নিতে আসছে। আমরা ঠিক করলাম, লিফট ধরব। উবারের চেয়ে এটা সস্তা।

প্লেন ছাড়তে না ছাড়তেই দেখি খিদে খিদে লাগে। পাইলট বলেছে, প্লেন ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যে স্ন্যাক্স নিয়ে ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্ট আসবে। তখন ইচ্ছে করলে আমরা নাস্তা আর পানীয় কিনতে পারি। মেনু দেওয়া আছে সিট পকেটে। দুজনে মিলে যাচাই করতে লাগলাম, কোনটা নেওয়া যেতে পারে। আলাদা আলাদাভাবে নিলে পানি, কোমল পানীয়, বা স্ন্যাকের দাম তিন ডলার করে পড়বে। কিন্তু যদি প্যাকেজ নিই, তাহলে দুটো স্ন্যাক আর দুটো কোমল পানীয় পড়বে দশ ডলার। অ্যাটেন্ডেন্টকে বললাম কোন প্যাকেজটা নিতে চাই। উনি খাবার এনে সিটের সাথে লাগোয়া ট্রেতে রাখলেন। উনারা নগদ টাকা নেন না। ক্রেডিট অথবা ডেবিট কার্ড দিয়ে মূল্য শোধ করতে হবে। ছোট্ট একটা পোর্টেবল মেশিনে কার্ড সোয়াইপ করে টাকা দিলাম। ঐ মেশিনেই আবার আঙ্গুলের মাধ্যমে স্বাক্ষর করতে হল। স্ন্যাক হিসেবে নিয়েছি ক্রিস্পি মার্শমেলো আর চেক্স মিক্স, পানীয় হিসেবে নিয়েছি জিঞ্জার এইল আর স্প্রাইট। স্ন্যাক দুটো খুবই মজা লাগল খেয়ে। ঠিক করলাম, নাস্তা হিসেবে খাওয়ার জন্য এখন থেকে এগুলোই কিনব।

পর্ব তিন, চার, পাঁচ

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post দুইদিনে লাস ভেগাস এবং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ভ্রমণঃ পর্ব ১
Next post দুইদিনে লাস ভেগাস এবং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ভ্রমণঃ পর্ব ৩