1 0
Read Time16 Minute, 4 Second

প্রথম পর্ব

কিছুদিন আগে পর্যন্ত আমি ইউ ডি পারফিউম আর ইউ ডি টয়লেটের পার্থক্য বুঝতাম না। পার্থক্য না বুঝার সাথে সাথে এদের সঠিক উচ্চারণও জানতাম না। সঠিক উচ্চারণ দুটো হলো ও দ্‌ পাফা (Eau de Parfum) আর ও দ্‌ তয়লেত (Eau de Toilette)। যদি জিজ্ঞেস করেন এই উচ্চারণ করার দরকার কী? ইংরেজিতে পারফিউম (Perfume) বললেই তো হলো! আমিও তাই বলি। পাফার ইংরেজি প্রতিশব্দ পারফিউম। সেটা বললেই চুকে যায়। কিন্তু পারফিউমের ভেতর যে ঘনত্বের রকমফের আছে, সেটা বুঝাবেন কীভাবে? সেটার জন্য তো ফরাসী শব্দগুলো দরকার! তাই ফরাসী উচ্চারণগুলোও জেনে রাখা ভালো।

পারফিউমের ঘনত্ব নির্ধারিত হয় এসেনশিয়াল অয়েলের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে। পাফা (Parfum), ও দ্‌ পাফা (Eau de Parfum), ও দ্‌ তয়লেত (Eau de Toilette), ও দ্‌ কোলোন (Eau de Cologne) আর ও ফঁশ্‌ (Eau Fraiche) হলো সুগন্ধির ঘনত্বের উপর নির্ভর করে দেওয়া পদবী। উপরের ছবিটা আপনাদের সুবিধার্থে দেওয়া হলো। সেখান থেকে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন পাফাতে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে খাঁটি নির্যাস থাকে (১৫-৪০%)। এরপর থাকে ও দ্‌ পাফাতে। ফরাসিতে Eau মানে পানি। কোনোকিছুতে পানি দিয়ে আমরা কী করি? ঘনত্ব কমাই। এইভাবে খাঁটি নির্যাসকে ডাইলিউট বা পাতলা করে বানানো হয় ও দ্‌ পাফা। আরও বেশি পাতলা করলে তৈরি হবে ও দ্‌ তয়লেত। তারও বেশি পাতলা করলে হবে ও দ্‌ কোলোন, আর হুঁশ হারিয়ে পাতলা করতে থাকলে হয়ে যাবে ও ফঁশ্‌। অনেকের ধারণা, পাফাতে যেহেতু নির্যাসের পরিমাণ বেশি, তাই এর গন্ধ ও দ্‌ পাফার চেয়ে বেশি স্থায়ী হবে। হয়তো ধারণাটা বেশিরভাগ সময়ের জন্য সত্যি, কিন্তু সবসময় নয়। অনেক ক্ষেত্রে পাফা এবং ও দ্‌ পাফার গন্ধ একই রকম স্থায়ী হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখবেন ও দ্‌ পাফার গন্ধের চেয়ে ও দ তয়লেতের গন্ধ বেশিক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে। নার্সিসো রদ্রিগেজের ‘ফর হার’ এমনই একটা সুগন্ধি। এর ও দ তয়লেত ভার্সনটা ও দ্‌ পাফার চেয়ে বেশি স্থায়ী। তবে এটা ঠিক, পারফিউমে যেহেতু খাঁটি নির্যাস বা এসেনশিয়াল অয়েলের পরিমাণ বেশি থাকে, এগুলো অল্প মাখলেই হয়ে যায়। কিন্তু এসেনশিয়াল অয়েল কম পরিমাণে দিয়ে বানানো ‘ও দ তয়লেত’ বা আরও কম দিয়ে বানানো কোলোন বা স্প্ল্যাশ (বডি স্প্রে) বেশি পরিমাণে মাখতে হয়। বারবার মাখতে হয়।

সেলেব্রেটি পারফিউমের উদাহরণ (ব্রিটনি স্পিয়ার্স, রিয়ানা, জেনিফার লোপেজ, নিকি মিনাজ, প্যারিস হিল্টন)

আপনি যদি আমার মত সুগন্ধি নিয়ে হালকা দৌড় ঝাঁপ করে থাকেন, তাহলে নিশ্চয় দেখেছেন মোটা দাগে সুগন্ধির ব্যবসাকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়? এক ভাগকে বলে ডিজাইনার (designer) পারফিউম, আরেকটা হলো নিশ (niche) পারফিউম, সব শেষে হলো সেলেব্রেটি পারফিউম। ডিজাইনার সুগন্ধি হলো বিভিন্ন ডিজাইনার ব্র্যান্ডের তৈরি সুগন্ধি। এসব ব্র্যান্ড শুধু সুগন্ধির ব্যবসা দিয়ে বেঁচে থাকে না। সুগন্ধির পাশাপাশি এদের অন্য ব্যবসাও থাকে, যেমন জামা-জুতো। ফ্যাশন হাউজগুলো এই ক্যাটাগরিতে পড়ে। কিন্তু নিশ সুগন্ধি প্রস্তুতকারকেরা শুধু সুগন্ধির উপরই ব্যবসা করে খেয়ে পরে বাঁচে। মানে এরা সুগন্ধির উপর বিশেষায়িত ব্র্যান্ড। আর সেলেব্রেটি সুগন্ধি হলো বিখ্যাত হওয়ার পরই তারকারা যে পারফিউমের লাইন বের করে ফেলেন, সেটা। ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস মুভি সিরিজের মত। প্রথম তিনটা মুভি জনপ্রিয় হওয়ার পর এই যে একের পর এক বস্তা পচা কাহিনী বের করছে, তার কারণ কী? কারণ তারা জানে মানুষ ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’ নামের কারণেই মুভি খাবে। একইভাবে, হালকা বিখ্যাত হয়ে গেলে তারকাদের মধ্যে রেস্তোরাঁ, স্কিনকেয়ার বা সুগন্ধির ব্যবসা শুরু করতে দেখা যায়। মানুষ তারকার নাম দেখেই পণ্য কিনে ফেলে। তাই এই সুগন্ধিগুলো তৈরি হয় সব স্তরের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য। একে বলে ক্রাউড প্লিজিং পারফিউম। তারকারা সুগন্ধি নিয়ে পরীক্ষণ করার বদলে স্টেরিওটাইপ গন্ধওয়ালা পারফিউম বের করেন। কারণ সেগুলো হিট খাবেই। স্টেরিওটাইপ  বলা হয় কারণ এগুলো বহুল প্রচলিত-চর্চিত-ব্যবহৃত এবং ক্লিশে হয়ে যাওয়া ফর্মুলা। তারপরও এগুলো টিকে আছে কারণ এই গন্ধগুলো গড়পড়তা মানুষ পছন্দ করে। পরিসংখ্যানে শিখেছিলেন না বেল কার্ভের কথা? বেশিরভাগ মানুষ কার্ভের মাঝখানে পড়ে (এভারেজ), কিন্তু গুটিকয় মানুষ পড়ে গড়পড়তার বাইরে, যাদের বলে আউটলায়ার। তারকারা ওই গড়পড়তা মানুষকে লক্ষ্য করেই সুগন্ধি বানায়। আউটলায়ারদের জন্য রয়ে যায় ডিজাইনার আর নিশ ব্র্যান্ড। এজন্য যারা আমার-আপনার মত আমজনতা নন এবং পারফিউম মাখতে মাখতে ঝানু হয়ে গেছেন, তারা সেলেব্রেটি পারফিউমের নাম শুনলে ছ্যাঃ ছ্যাঃ করেন। তাদের কাছে নিশ পারফিউমই সর্বশ্রেষ্ঠ, বা আরেকটু নিচে নামলে ডিজাইনার পারফিউম। তাতে আমার াল ছেঁড়া যায়! আমার সামর্থ্যের মধ্যে যদি সেলেব্রেটি পারফিউম থাকে, সেটাই সই।

ডিজাইনার পারফিউমের উদাহরণ (গুচ্চি, মুগলার, কেলভিন ক্লেইন, দিওর, ভেরসাচে, জর্জো আর্মানি, জুসি কুটুওর, শানেল, জিমি চু, এলি সাব, ইভ সাঁ লঁহ)

ডিজাইনার সুগন্ধিকে নিশের নিচে রাখছি কারণ এগুলো প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন করা হয়। প্রচুর উৎপাদন মানে খুচরা মূল্য কম। খুচরা মূল্য কম মানে সাধারণ জনগণ কেনার সামর্থ্য রাখে। কিন্তু এখানেও কথা আছে। ডিজাইনার ব্র্যান্ডের মধ্যে আবার বামুন আছে। বামুনদের সুগন্ধির দাম গলাকাটা। প্রথম পর্বে দুটো বামুন ব্র্যান্ডের কথা বলেছিলামঃ শানেল এবং ভিক্তর অ্যান্ড রলফ। এছাড়াও অনেক বামুন ডিজাইনার আছে, যেমন টম ফোর্ড, দিওর, ইভ সাঁ লহঁ। এদের সুগন্ধি কিনতে গেলে একমাস মুদি দোকানের কেনাকাটা বাদ দিতে হবে। কিন্তু ভয় পাবেন না হে আমার কচি, হে আমার কাঁচা। আপনাদের জন্য আছে ভেরসাচে, জুসি কুটুওর বা প্রাদার মত সস্তা ডিজাইনার ব্র্যান্ড। এবার আসি নিশ পারফিউমের কথায়। এসব সুগন্ধির মাস প্রোডাকশন হয় না। এগুলো তৈরি করা হয় অল্প পরিমাণে। তাই সেটা এক্সক্লুসিভ এবং প্রচুর দামী। এসব সুগন্ধি তৈরি করা হয় বিত্তবানদের কথা মাথায় রেখে, বা যারা ফ্রেগ্রেন্স কনেস্যর (connoisseur) বা ফ্রেগ্রেন্স আফিসিওয়ানাদো (aficionado), তাদের জন্য। একটা উদাহরণ দিই। মধ্যবিত্তরা নিউমার্কেটের ফুটপাথ থেকে জামাকাপড় কিনেই সন্তুষ্ট। কিন্তু বড়লোকদের দেখা যায় গুলশান, বনানীর ফ্যাশন হাউজ থেকে কাপড় কিনতে। আবার চরম পর্যায়ের বড়লোকেরা কেনে ওট কুটুওর (Haute Couture)। ওট কুটুওর হলো কাস্টম মেইড জামা। এক পিস মেড, কারিগর ডেড। এগুলো এক বা দুই পিস করে বানানো হয়। তাই খুব দামী হয়ে থাকে। লাল গালিচা সম্বর্ধনায় তারকারা যেসব জামা পরেন, সেগুলো ওট কুটুওরের ভালো উদাহরণ। উনাদের পোশাক যদি হিট খায়, সে জামার মাস প্রোডাকশন হয়। এক পর্যায়ে নিউমার্কেটের ফুটপাথেও ওই নকশার জামা চলে আসে।

লাইন ছেড়ে বেলাইনে চলে যাওয়া আমার পুরাতন অভ্যাস। একটু ক্ষমা ঘেন্না করে দেখবেন। ফিরে আসি লাইনে। সুগন্ধি সাধারণত বিক্রি হয় ১ আউন্স, ১.২ আউন্স, ১.৭ আউন্স, ২.২ আউন্স, ৩.৪ আউন্স, ৪.২ আউন্স… এভাবে। এগুলো বডি স্প্রে বা কোলোনের মতো বড় বোতলে বিক্রি হয় না, কারণ ১ আউন্সের বোতলের দামই হার্ট এটাক হওয়ার মত। অনেক সময় ৫ আউন্স বা ৭ আউন্সের বোতলও দেখবেন, তবে সেগুলো খুব কম বের করা হয়। এবার চলুন সুগন্ধির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্যের কথায়। লেখা পড়তে পড়তে কি ভুলে গিয়েছেন যে, আমার এখনও পারফিউমের গন্ধ নিয়ে কথা বলা বাকি? নাকি আলতু ফালতু তথ্য দিয়ে মাথা বোঝাই করতে করতে ভাবছেন “ওরে বেটি, কখন আসল কথা পাড়বি?” যেটাই হোক, এক্ষণ আপনার সামনে পেশ করবো গন্ধের কাহিনী।

নিশ পারফিউমের উদাহরণ

সুগন্ধির গন্ধের বেলায় যে আছে কতো শত বাহার! ওয়ার্ম বা উষ্ণ গন্ধ, কাম (calm) বা ঠাণ্ডা গন্ধ, ফ্রেশ বা তাজা গন্ধ, সুইট বা মিষ্টি গন্ধ, পেপার (pepper) বা ঝাঁঝালো গন্ধ, দূরে ঠেলে দেওয়া গন্ধ, কাছে টেনে নেওয়া গন্ধ…। আহ, গন্ধে গন্ধময় দুনিয়া! ভাবছেন, গন্ধের আবার গরম-ঠাণ্ডা কী? একদম যা তা বলে দিলেই হলো নাকি? হুহ, আপনাকে দোষ দেবো না। যখন সুগন্ধি নিয়ে রিভিউ দেখতাম বা পড়তাম, আমিও ভাবতাম, কাহানীডা কী? গন্ধ শুঁইক্কা ব্যাডা বেডিরা কেম্নে বুঝতেসে এইডা উষ্ণ গন্ধ না ঠাণ্ডা? পরে যখন ফিল্ডে নেমে গন্ধ শুঁকলাম, বুঝলাম কাহানী। যে গন্ধ শুঁকলেই মনে হয় গরম লাগছে, সেটাই উষ্ণ সুগন্ধি। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় সেগুলো তৈরি হয়েছে ফ্লোরাল (ফুল), ফ্রুটি (ফল), স্পাইসি (মশলা) বা হার্ব (ভেষজ উদ্ভিদ) ফ্লেভার দিয়ে। আবার যে গন্ধ শুঁকলে মনে হয় “মাত্র স্নান করে এসেছে”, সেগুলো হলো তাজা গন্ধ। সাবান বা শ্যাম্পু মেখে স্নান করার পর ফ্রেশ একটা গন্ধ সারা গায়ে বা চুলে যেভাবে ছড়িয়ে থাকে, সেরকম গন্ধওয়ালা সুগন্ধিই হলো ফ্রেশ পারফিউম। ঠাণ্ডা গন্ধ বলা যায় সেগুলোকে, যেগুলো আপনাকে গরম অনুভূতি দেবে না, বরং মনকে শান্ত করবে। শুঁকলে মনে হবে, “আহ! শান্তি।” অনেকের কাছে সল্ট (সাগরের পানির আবহ তৈরি করে) বা লেবু দিয়ে তৈরি সুগন্ধিকে ঠাণ্ডা সুগন্ধি মনে হয়। কিছু সুগন্ধি শুঁকলে মনে হবে আপনাকে চমচম বা রসগোল্লার কড়াইয়ে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতোই মিষ্টি গন্ধ। আবার কিছু সুগন্ধি আছে তীব্র ঝাঁজ ছড়ায়। গন্ধটা এক্কেবারে নাক থেকে ব্রহ্মতালু পর্যন্ত চলে যায়। শানেল মাদেমোইসেলের গন্ধ আমার এরকম লাগে। আবার কিছু গন্ধ আছে কর্তৃত্ব টাইপ ভাইব ছড়ায় (bossy perfume)। এগুলো যারা গায়ে মাখে, তারা মানুষের কাছে সহজে ধরা দেওয়ার পাত্র নয়। আবার কিছু গন্ধ শুঁকলেই মনে হবে মাই ডিয়ার টাইপ। কিছু গন্ধ আছে রোমান্টিক সময় কাটানোর জন্য। সেগুলো থেকে নাকি “আমায় কাছে টেনে নাও” ভাইব ছড়ায়! মানে খুব সেক্সি গন্ধ।

আমার কাছে ক্ষেত্রবিশেষে সব ধরনের গন্ধই ভালো লাগে। সকালে তাজা গন্ধ ভালো লাগে, রাতে উষ্ণ গন্ধ। বিপদের কথা হলো, ফ্রেশ গন্ধ গায়ে বেশিক্ষণ থাকে না। উষ্ণ গন্ধ অনেক সময় ধরে থাকে। তবে গন্ধ কতক্ষণ গায়ে থাকবে সেটা অনেকখানি নির্ভর করে ত্বকের বৈশিষ্ট্যের উপর। যে বেশি ঘামে তার গায়ে হয়তো অল্প সময় থাকে, কারণ ঘামের সাথে সুগন্ধিও বাষ্প হয়ে উড়ে যায়। আবার যে কম ঘামে তার গায়ে হয়তো থাকে সাত/আট ঘণ্টা থেকে একদিন পর্যন্ত। তাই টাকার সদ্ব্যবহারের জন্য পারফিউম চামড়ায় স্প্রে না করে জামায় করুন। জামার তন্তু গন্ধ ধরে রাখে। অনেকে অবশ্য জামার পাশাপাশি কনুইয়ের জয়েন্টে, কাঁধে, গলায়, কানের পিছে, এমনকি চুলেও সুগন্ধি লাগাতে পছন্দ করেন। এটা যার যার রুচি। আমি সবসময় জামায়ই স্প্রে করি। বগলের জন্য বডি স্প্রে, জামার জন্য পারফিউম। বডি স্প্রে যদি পারফিউমের সাথে ম্যাচ করে, সেটা অনেকক্ষণ গন্ধ বজায় রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু যদি দুটো বিপরীত ধরনের গন্ধ ব্যবহার করেন (ধরুন, তাজা গন্ধের বডি স্প্রের সাথে উষ্ণ গন্ধের পারফিউম দেন), তাহলে এরা পরস্পরকে পরিপূর্ণ করবে না। ফলাফল, গন্ধে গন্ধে কাটাকাটি।

(তৃতীয় পর্বে সমাপ্তি)

Happy
Happy
25 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
50 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
25 %
Previous post পারফিউম বা সুগন্ধিঃ বিস্ময়কর এক জগত (পর্ব ১)
Next post পারফিউম বা সুগন্ধিঃ বিস্ময়কর এক জগত (পর্ব ৩)