1 0
Read Time18 Minute, 8 Second
ক্যালিফোর্নিয়া য্যাফির রেলগাড়ি চলছে কলোরাডো নদীর পাশ দিয়ে

অ্যামট্রাকের নাম তো সুনা হি হোগা! না শুনলেও ক্ষতি বৃদ্ধি কিছু নেই। এটা যুক্তরাষ্ট্রের সরকারী রেল পরিবহন ব্যবস্থা। যুক্তরাষ্ট্র নামক বিভূঁইয়ে আসার পর থেকে ইচ্ছা ছিল ট্রেনে চড়বো। দেশে যেরকম কু ঝিকঝিক শব্দ করে সাপের মত এঁকে বেঁকে চলা রেলগাড়িতে উঠতাম, সেরকম আমেরিকার রেলগাড়িতে চড়বো। কিন্তু কে জানতো এই পাণ্ডব-দ্রৌপদী বর্জিত দেশে রেলগাড়ি এত দামী একটা পরিবহন? ভেবেছিলাম ক্রস কান্ট্রি টুর দেবো (দেশের এক মাথা থেকে আরেক মাথায় ভ্রমণ), দেখি টিকেটের দাম জনপ্রতি বারো’শ ডলার। পেটের ভেতর গুড়গুড় করে উঠলো। যা শালা! যদি শুধু ট্রেনে বসতেই একেকজনের এত টাকা লাগে, তাহলে এই টাকা দিয়ে দুইজনের প্লেনের রাউন্ডওয়ে টিকেট আর হোটেল বুকিং বাদ দিয়ে কে যাবে অ্যামট্রাকে উঠতে, অ্যাঁ? এসব ভেবে ভেবে গত পাঁচ বছরে আর অ্যামট্রাকমুখী হওয়া হয়নি। তবে আসছে বড়দিনে একটা ভ্রমণ পরিকল্পনা করতে গিয়ে কিছুতেই যখন ভালোমন্দ জায়গা খুঁজে পাচ্ছি না, ঘুরেফিরে আগে একবার যাওয়া ‘ইংক লেক স্টেট পার্ক’-ই মাথায় গোঁত্তা মারছে, তখন প্রিন্স খুঁজে বের করলো অ্যামট্রাকের প্যাকেজ।

আসলে হয়েছিলো কী, বরাবরের মত এবারও আমি জোশ নিয়ে ‘কোথাও যাবো না, খালি কাজ করবো’ ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু যতোই হলিডের ছুটি এগিয়ে আসছিলো, ততোই মন আঁকুপাঁকু করছিলো। খালি মনে হচ্ছিলো বছরের এগারো মাস তো ক্লাসে পড়াই আর গবেষণাই করি। একমাস কি নিজের আনন্দের জন্য খরচ করবো না? এই একমাস আবার গ্রীষ্মের ছুটি আর শীতের ছুটি মিলিয়ে বললাম। তো, প্রতি বছর গ্রীষ্মের ছুটির আগে যেমন ঘ্যানঘ্যান করে প্রিন্সের মাথা খারাপ করে দিই, এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। কিছুদিন মনকে আলতু ফালতু বুঝ দিয়ে যখন কাজ হল না এবং মন বিগড়ে গিয়ে বলল, “তোর কাজ করা ছুটাচ্ছি। একটা দিনও কাজে মন বসাতে পারবি না”, তখন প্রিন্সের কাছে গিয়ে অপরাধীর মত মুখ করে বললাম, “এবার আমরা কই যাবো?” প্রিন্স জানতো পালের হাওয়া বদলাবেই, তাই আমার ঘ্যানঘ্যানানির জন্য অপেক্ষা না করে খোঁজাখুঁজি শুরু করে দিয়েছিলো। বললো, “তোমার তো নিউ ইয়র্কে নতুন বছর পালন করার অনেক শখ। একই রকম মজা নাকি লাস ভেগাসেও হয়। যাবা? ওখান থেকে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নটাও ঘুরে আসা যাবে।” আমাদের কাছে বিমানের টিকেট, থাকা-খাওয়া কিংবা গণ পরিবহন ব্যবস্থা (লোকাল বাস, উবার, ট্রাম, পাতালরেল আর কি) মিলিয়ে নিউ ইয়র্কের চেয়ে লাস ভেগাস বেশ সস্তা লেগেছিলো। তো, নিউ ইয়ার ইভ থেকে শুরু করে দুই, তিনদিন লাস ভেগাস এবং গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে কাটানো খারাপ হবে না ভেবে সায় দিয়ে দিলাম। চার বছর আগে যখন লাস ভেগাস গিয়েছিলাম, প্যাকেজ টুরের মাধ্যমে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের সাউথ রিমও ঘুরে এসেছিলাম। কিন্তু প্যাকেজ টুর হলে যা হয়, সবকিছু ছকে ফেলা। এইখানে যাওয়া যাবে না, ওই জায়গা প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত নয়, এক ঘণ্টার বেশি থাকা যাবে না, ইত্যাদি। ফলে ঠিকমত উপভোগই করতে পারিনি প্রাকৃতিক আশ্চর্যটা। এজন্য ফিরে আসার পর থেকে ভেবেছি আরেকবার যেতে হবে চেগিয়ে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন দেখার জন্য। তখন গিরিখাদের ভেতরও নামবো। আহ! মনে হচ্ছে এইবার চলেই এসেছে সেই সুযোগ।

প্রিন্স দেখতে বসলো লাস ভেগাস থেকে কোনোরকম প্যাকেজ টুর ছাড়া গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে যাওয়ার উপায় কি। আশ্চর্য! আমাদের সুবিধামাফিক কোনো ব্যবস্থাই নেই। হয় প্যাকেজ টুরে যেতে হবে, নতুবা গাড়ি ভাড়া করে। গাড়ি ভাড়া করাটা আমাদের জন্য বেশ খরুচে ব্যাপার কারণ আমরা গাড়ির জন্য যে ইনস্যুরেন্স নিই, সেটা ভাড়া গাড়ির (রেন্ট-এ-কার) ইনস্যুরেন্স কাভার করে না। ভাড়া গাড়ির ইনস্যুরেন্স আমাদের পকেট থেকেই দিতে হয়। এজন্য গাড়ি ভাড়া করে কোথাও যেতে চাই না। গেলে নিজের গাড়িতে যাই (কলোরাডো ভ্রমণ) অথবা যাই এমন জায়গায় যেখানে গণ পরিবহন ব্যবস্থা ভালো (নিউ ইয়র্ক সিটি)। এসব চিন্তা করে লাস ভেগাস ভ্রমণ বাদ দিয়ে দিলাম। শুধু আতশবাজি দেখার জন্য এতদূরে যাওয়ার মানে হয় না। সেটা ডালাস, অস্টিন কিংবা হিউস্টনেই দেখা যায়।

পাল দুরো গিরিখাদ, যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম গিরিখাদ (গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন হল সর্ববৃহৎ)

শুরু হলো নতুন জায়গা খোঁজা। এবার চাইলাম ক্যাম্পিং করার মত বা কেবিনে থাকার মত জায়গা বের করতে। অন্যান্যবার ভ্রমণের খুঁটিনাটি নিয়ে আমি বেশি খুটখাট করলেও এবারের ধাক্কা পুরোটাই প্রিন্সের উপর দিয়ে গেলো। কোন জায়গায় যাবো, সেখানে গিয়ে কী কী দেখবো, কোথায় থাকবো, কী খাবো, এসব পরিকল্পনা করে আমি খুব মজা পাই। কিন্তু এই মুহূর্তে পিএইচডির কাজ করতে করতে নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। ভ্রমণ পরিকল্পনা করার মুড আসছে না। তাই প্রিন্স পুরো ভার নিজের কাঁধে তুলে নিলো। খুঁজে বের করলো গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের বিকল্প ‘পালো দুরো ক্যানিয়ন স্টেট পার্ক’, যা কিনা টেক্সাসের ভেতরেই। আমাদের বাসা থেকে মাত্তর আট ঘণ্টা দূরত্বে। নিজেদের গাড়ি নিয়ে চলে যাওয়া যাবে। মনে পড়লো আমাদের কলোরাডো ভ্রমণের পথে এই পার্ক পড়েছিলো। ঘুরেও যেতে চেয়েছিলাম যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম গিরিখাদটা, কিন্তু সময়ে কুলায়নি। হ্যাঁ পাঠক, এই গিরিখাদের অবস্থান গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের ঠিক পরেই। ছবিতে দেখলে বুঝতেই পারবেন না দুই ক্যানিয়নের পার্থক্য যদি না আপনি ক্যানিয়ন বিশারদ হয়ে থাকেন।

পালো দুরো গিরিখাদে নির্মিত কেবিন

পালো দুরো ক্যানিয়ন স্টেট পার্কে ক্যাম্পসাইটের চেয়ে কেবিনের (এগুলো লজিং নামেও পরিচিত) অবস্থানগুলো আশ্চর্যজনকভাবে সুন্দর। গিরিখাদের চূড়ায় পাথর দিয়ে তৈরি ছোট্ট ছোট্ট ঘর। বাইরে এসে দাঁড়ালে সামনে পড়বে বিশাল গিরিখাদ। চারপাশে আর কিছুই নেই। শুধু ক্যানিয়ন আর আপনি। সে গিরিখাদ আবার দিনের বিভিন্ন সময় সূর্যের আলোর কারসাজিতে রঙ পাল্টে ফেলছে। একবার ধূসর, তো আরেকবার কমলা। একবার হলুদ, তো আরেকবার নীলচে। চিন্তা করা যায় এই জায়গা থেকে সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত কিংবা রাতের আকাশের তারা দেখতে কেমন লাগবে? আমি আর কিছু ভাবতে পারলাম না। তড়িঘড়ি বুক করতে গেলাম একটা কেবিন। বালাই ষাট! একটাও খালি নেই। ডিসেম্বরের শুরু থেকে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত সবগুলো স্লট মানুষ খেয়ে দিয়েছে। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বেরিয়ে এলাম পালো দুরোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে। প্রিন্সকে বললাম, “বাদ দাও নতুন জায়গা খোঁজা। চল, ইংক লেক স্টেট পার্কেই যাই। প্রতি বছর বড়দিনের ছুটিতে নিয়ম করে ওখানে যাবো। তৈরি হবে আমাদের পারিবারিক প্রথা।” প্রিন্স কাষ্ঠ হেসে ইংক লেকে একটা কেবিন ভাড়া করলো। দুইদিন সেখানে থাকবো। আগেরবারের মতই মুরগী গ্রিল করে খাবো, পাশের টিলায় হাইকিং করবো। ব্যস, বড়দিনের ছুটি খতম।

বরফে ঢাকা রাস্তায় চলছে ক্যালিফোর্নিয়া য্যাফির রেলগাড়ি

দুইদিন পরের কথা। আমি পড়ার ঘরে বসে কাজ করছি, প্রিন্স এসে বললো, “একটা জিনিস দেখে যাও!” গেলাম ওর সাথে ওর কাজের স্টেশনে। আমরা দুইজন দুই ঘরে বসে কাজ করি। প্রিন্সের ল্যাপটপে গুগল ম্যাপ আর অ্যামট্রাকের ওয়েবসাইট খুলে রাখা। আমি প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকাতেই প্রিন্স বলল, “অ্যামট্রাকে ভ্রমণ করবা নাকি?” আমার ভ্রূ আরেকটু উঁচু হলো। প্রিন্স বলতে শুরু করলো, “ডিসেম্বরের শেষ দিকে ভালো একটা ডিল পেয়েছি। নিয়মিত ভাড়ার অর্ধেকে ভ্রমণ করা যাবে। অ্যামট্রাকের অনেকগুলো সাইট সিয়িং প্যাকেজ আছে। শিকাগো থেকে ক্যালিফোর্নিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ওয়াশিংটন, ওয়াশিংটন থেকে ভারমন্ট। এগুলো সবই প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে দেখে ট্রেন ভ্রমণ করার জন্য বানানো। সবচেয়ে বিখ্যাতটা হলো য্যাফির প্যাকেজ যেটা শিকাগো থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিস্কো পর্যন্ত যায়। ইলিনয়, আইওয়া, নেব্রাস্কা, কলোরাডো, ইউটাহ্‌, নেভাদা হয়ে ক্যালিফোর্নিয়া। মোট সাতটা অঙ্গরাজ্য পার হয় তিন দিন দুই রাতের মধ্যে। বিশেষ করে কলোরাডোর রকি পর্বতের ভিতর দিয়ে যখন যায়, সেটা নাকি স্বর্গ। এটাতে করে একটা ট্রিপ দিবা নাকি?” শুনে ইন্টারেস্টিং লাগলো। প্রিন্স ইউটিউব ঘেঁটে অনেকগুলো ভ্লগ দেখেছে। আমাকেও কয়েকটা দেখালো। গ্রীষ্ম, হেমন্ত এবং শীতকালের ভ্লগ। তিন ঋতুতে এই রাউটের তিন ধরনের সৌন্দর্য। আমরা যদি যাই, শীতকালে যাবো। বেশিরভাগ জায়গাই তখন বরফে ঢাকা থাকবে। কিন্তু সেটাও এত সুন্দর! উইন্টার ওয়ান্ডারল্যান্ড যাকে বলে। এক দেখাতেই প্রেমে পড়ে গেলাম। এক পায়ে খাড়া হয়ে বললাম, “ইংক লেকের রিজার্ভেশন বাতিল করে দাও। আমরা অ্যামট্রাকেই যাবো!”

গন্তব্য তো কম খরচে ঠিক করলাম, পুরো ভ্রমণ পরিকল্পনার কী হবে? কলেজ স্টেশন থেকে শিকাগো যাওয়া, ওখানে এক রাত থাকা, ট্রেনে চড়ে ক্যালি যাওয়ার পথে খাওয়া দাওয়া, ক্যালিতে নেমে হালকা ঘোরাঘুরি, আবার ক্যালি থেকে তেহাসে ফেরত আসা (তেহাস হল টেক্সাসের প্রাচীন নাম। মজাই লাগে এই নামে ডাকতে)। এসব ধাপে প্রচুর খরচ হওয়ার কথা! খরচের ধরন বুঝার জন্য বসলাম হিসেব করতে। এক পর্যায়ে মনে হল, হিসেব করে আর কতদিন? হিসেব করলে কোথাও যাওয়া হবে না। গেলেও টাকার চিন্তায় ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবো না। তাই যেখানে যতোটুকু সম্ভব চেপেচুপে চলব, এই নিয়ত নিয়ে এই ভ্রমণই চূড়ান্ত করে ফেললাম। কেটে ফেললাম টেক্সাস থেকে ইলিনয় যাওয়ার বিমান টিকেট। শিকাগোতে এক রাত থাকার জন্য মোটেল রুম বুক করলাম। ট্রেনে উঠার সময় এক কাড়ি খাবার নিয়ে উঠার বাজেট রাখলাম। ট্রেনেও খাবার বিক্রি করে কিন্তু সেগুলোর দাম বেশি। তাই যতখানি পারি নিজেরাই কিনে নেবো। প্রথমে ভেবেছিলাম সান ফ্রান্সিস্কোতে নেমে পরদিনই টেক্সাসে ফেরার টিকেট কেটে ফেলবো। কিন্তু সময়টা নতুন বছরের আশেপাশে পড়েছে আর টিকেটের দাম দেখাচ্ছে গলাকাটা। কিন্তু যদি তিনদিন পরে কাটি, দাম খুবই কম পড়বে। তাই তিন রাত সান ফ্রান্সিস্কোতে কাটাবো ঠিক করলাম।

গোল্ডেন গেট ব্রিজ, সান ফ্রান্সিস্কোর প্রতীক

প্রিন্স কিছু জায়গা বের করলো শহরের আশেপাশে ঘুরার জন্য। দুঃখের ব্যাপার হল, আমি যেই দর্শনীয় স্থান বের করলাম, সেই ‘গোল্ডেন গেট ন্যাশনাল রিক্রিয়েশন এরিয়া’-তে ঘুরার জন্য গণ পরিবহন ব্যবস্থা নেই। নিজেদের গাড়ি (বা ভাড়া গাড়ি) নিয়ে আসতে হবে। মূল সান ফ্রান্সিস্কো শহর থেকে গণ পরিবহনের মাধ্যমে আপনি গোল্ডেন গেট ব্রিজ পার হয়ে রিক্রিয়েশন এরিয়ার নির্দিষ্ট কিছু জায়গা পর্যন্ত আসতে পারবেন। এরপর  হাঁটতে হবে। সে হাঁটাও কম কিছু নয়। বাস স্টপেজ থেকে সবচেয়ে কাছের সমুদ্র সৈকতও ঘণ্টাখানিকের দূরত্ব। এভাবে হেঁটে কুলাতে পারবো না বলে রিক্রিয়েশন এরিয়াটা তালিকা থেকে বাদ দিলাম। বদলে প্রিন্সের বের করা ফিশারম্যান ওয়ার্ফ, পিয়ার ৩৯, বেকার বিচ, গোল্ডেন গেট ওভারলুক, মরি পয়েন্ট (সৈকত), মাসেল রক পার্ক, সান ফ্রান্সিস্কো ডাউনটাউন ইত্যাদি তালিকাতে ঢুকালাম। ইচ্ছে আছে সান ফ্রান্সিস্কোর চায়না টাউনে ঢুঁ মারার। এটা নাকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম চায়না টাউন। সময় থাকলে যাবো জাপানী চা বাগানেও। দেখি কদ্দূর কী করা যায়। বেশি ক্লান্ত লাগলে তিনদিন শুধু ঘুমিয়েও কাটাতে পারি! অ্যামট্রাকে আমাদের সিট হলো কোচ ক্যাটাগরির। বিছানা ক্যাটাগরি নিলে দাম এক লাফে দ্বিগুণ হয়ে যায়। তাই তিন দিন দুই রাত কোচে বসে, আসন হালকা পেছনে হেলিয়ে কতটুকু ভালো ঘুম দিতে পারবো, জানি না। তবে বাঁচোয়া যে, রেলগাড়ির ভেতর হাঁটাচলা করার সুযোগ আছে, আছে অব্জারভেশন ডেকে বসে প্রকৃতি দেখার সুযোগ। এসব করতে করতেই আশা করি কেটে যাবে অ্যামট্রাক ভ্রমণ।

বিঃ দ্রঃ যখন আমার পিএইচডি অ্যাডভাইজরকে এই ভ্রমণের কথা বললাম, উনি ভীষণ উত্তেজিত হয়ে বললেন, “ওহ রুথ! আমি অনেক নাম শুনেছি এই রাউটের। আমার অনেক বন্ধু পরামর্শ দিয়েছে অ্যামট্রাকের য্যাফির প্যাকেজে ভ্রমণ করতে। তুমি ঘুরে আসো, এরপর আমাকে বিস্তারিত বলবে। আমিও যাবো।”

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Previous post দৈনন্দিন জীবন, হলিডে সিজন…
Next post পিএইচডি ক্যান্ডিডেসি পরীক্ষার গল্প – প্রথম পর্ব