Read Time18 Minute, 5 Second
গতকাল রাতে আমরা হোটেলের রিসেপশনিস্টের সাথে কথা বলে ২৬ তারিখ সকাল ৯ টা থেকে ২৭ তারিখ সকাল ৯ টা পর্যন্ত (২৪ ঘণ্টা) দুটো স্কুটি ভাড়া করে রেখেছিলাম ৫৭৬০০০ রুপিয়া (৯৬০ টাকা) দিয়ে। একটাতে প্রিন্স আর রসি উঠবে, আরেকটায় উঠবো আমি আর অংকন। অঝর আআসার পর ওর আর স্বর্ণার জন্য আরেকটা স্কুটি ভাড়া করবো। সকাল নয়টায় ঘুম থেকে উঠলাম রিসেপশনিস্টের ডাকাডাকিতে। আমাদের স্কুটি চলে এসেছে, তেল-চাবি বুঝে নিতে হবে। উঠে দেখি আকাশ কালো হয়ে আছে। বৃষ্টি নামি নামি করছে। কিন্তু আমাদের ভয় পেলে চলবে কেন? পকেট ভর্তি ইউরো নিয়ে বসে আছি। রুপিয়াতে কনভার্ট না করলে বালিতে জীবন ধারণ অসম্ভব। তাই প্রিন্স আর রসি বেরিয়ে পড়লো ইউরো ভাঙানোর জন্য। আগেই জেনে নিয়েছিলাম, কুটা সেন্ট্রাল সবচেয়ে ভালো রেট দেয়। তাই সেখানে গিয়ে ইউরো ভাঙলাম। এক ইউরো ভাঙিয়ে ১৬৯০০ রুপাইয়া করে পেলাম। পরে অন্যান্য যেসব জায়গায় ভাঙিয়েছি, পেয়েছি ১৬৫০০ করে। বালিতে গেলে একদিনের জন্যে হলেও মিলিওনেয়ার হবেন।
বালির বড় বড় দোকানপাট বা মলে ক্রেডিট কার্ড একসেপ্ট করে ঠিকই, কিন্তু খুচরা দোকানে রুপিয়া ছাড়া কথা নেই। আপনি সস্তা হোটেলে থাকতে চান? উবারে উঠতে চান? টিকেট কাটতে চান? স্কুটি ভাড়া করতে চান? কম খরচের দোকানে খেতে চান? পকেটে রুপিয়া রেডি রাখুন। এসব ক্ষেত্রে ডলারও চলবে না, ইউরোও না। রুপিয়া হাতে পাওয়ার পর আমরা খেতে বের হলাম। গতকালের চেয়ে একটু ভালো রেস্তোরাঁয় নাস্তা করতে বসলাম। এখানে খাবারের তুলনায় দামটা একটু বেশিই লাগলো। খাওয়া শেষ হতে হতে স্বর্ণা চলে এলো আমাদের হোটেলে। সে এখন এয়ারপোর্টে যাবে অঝরকে নিয়ে আসতে। স্বর্ণা যে উবারে করে এসেছে, সেই উবারের চালক মিঃ মারুদুত আমাদেরকে বললেন, তিনি ১১ ঘণ্টা আমাদের সাথে থাকতে রাজী যদি আমরা তাকে ৫৫০০০০ রুপিয়া দিই। এই ১১ ঘণ্টার মধ্যে আমরা যেখানে খুশি যাই, যতক্ষণ খুশি থাকি, কোনো সমস্যা নেই। আমরা উনার নাম্বার নিয়ে রাখলাম। বললাম, দরকার হলে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করবো।

স্বর্ণা অঝরকে আনতে চলে গেলো, আমরাও কুটা বিচে রওনা দিলাম। অঝর এসে যদি ক্লন্ত না হয়ে থাকে, তবে স্বর্ণাসহ কুটা বিচে চলে যাবে। এখন কথা হল, স্বর্ণার কাছে ইন্দোনেশিয়ান সিম কার্ড আছে, আমাদের কাছে নেই। কয়দিনের জন্য বেড়াতে এসে সিম কেনারও ইচ্ছে হচ্ছে না, কারণ হোটেল-রেস্তোরাঁ সব জায়গায়ই আছে ফ্রি ওয়াইফাই। তাই স্বর্ণা রওনা দেবার সাথে সাথে আমরা জিপিএসহীন হয়ে পড়লাম। স্কুটি চালাতে হলে জিপিএস লাগবে। নতুন জায়গায়, যেখানে আবার মানুষজন ইংরেজি বুঝে না, জনে জনে জিজ্ঞেস করে কোনো ঠিকানা খুঁজে বের করা সেরকম কঠিন। ফলে আমরা হোটেলের রিসেপশনিস্টের নাম্বার থেকে উবার কল করলাম। উবারে উঠলাম আমি আর প্রিন্স, স্কুটিতে চড়লো রসি আর অংকন। হোটেল থেকে কুটা বিচ পর্যন্ত যেতে উবারে লাগলো মাত্র ২০০০০ রুপিয়া। উবারের ঠিক পিছু পিছু চলে এলো স্কুটি। বিচ দেখলাম দেওয়াল দিয়ে ঘেরা। দেওয়ালের বাইরে ফুটপাথ এবং ফুটপাথের পর মেইন রাস্তার কিছু অংশ জুড়ে স্কুটি পার্ক করার জায়গা। বালিতে না গেলে বুঝতামই না, এত স্কুটি দুনিয়ায় আছে! বারো-তেরো বছরের বালক-বালিকা থেকে শুরু করে সত্তর-আশি বছরের দাদু-দিদিমা পর্যন্ত স্কুটিতে টান দিচ্ছে। আমাদের যেমন রিকশা, বালিতে তেমন স্কুটি। যা হোক, ৫০০০ রুপিয়া দিয়ে স্কুটি পার্ক করে আমরা বিচে প্রবেশ করলাম। আহ! এতদিন শুধু প্ল্যানই সাজিয়ে এসেছি বালির সমুদ্র সৈকত দেখার। কিন্তু আজ একদম সামনাসামনি দেখবো।

গেট দিয়ে বিচে ঢুকতেই মার্কেটাররা এসে হাঁকাহাঁকি শুরু করলো। চেয়ার লাগবে? সার্ফিং বোর্ড লাগবে? আমরা একটা চেয়ার ভাড়া করলাম, চার ঘণ্টার জন্য ২৫০০০০ রুপাইয়া নিলো। সার্ফিং বোর্ড যারা ভাড়া দিচ্ছে, তারা আপনাকে সার্ফিং কীভাবে করতে হয় সেটা শিখিয়েও দিবে। আমরা যদি কেউ সারাদিনের জন্য বোর্ড ভাড়া করতে চাই এবং শিখতে চাই, তাহলে ১২০০ টাকার প্যাকেজ নিতে পারি। তবে সমস্যা হল, তারা কেবল একজনকে শিখাবে। খুব একটা আগ্রহ ছিল না বলে চারজনকে শিখাতে কতো লাগবে, সেটা আর মুলামুলি করলাম না। সমুদ্রের এত কাছে এসে সবার মন উচাটন করতে লাগলো নামার জন্য। কিন্তু কাউকে না কাউকে পাহারায় থাকতে হবে ব্যাগের জন্য। ব্যাগ ভর্তি করে টাকা পয়সা, টাওয়াল, ক্যামেরা নিয়ে আসা হয়েছে। চোর ছ্যাঁচোড় আছে কিনা, নিশ্চিত না হয়ে সবার একসাথে নামা ঠিক হবে না। তাই তিনজন নেমে পড়লাম সাগরে, রসি একটা বিয়ার কিনে চেয়ারে বসে বসে পাহারা দিতে লাগলো।
পানিতে নামার সাথে সাথে গরম কেটে গিয়ে স্নিগ্ধ একটা ঠাণ্ডা অনুভব করলাম। ঢেউগুলো অনেক বড় আর চারভাগে ভাগ হয়ে সৈকতে আছড়ে পড়ছে। একদম প্রথম ঢেউটা কমপক্ষে দশ ফুট উঁচু হবে। দলের মধ্যে আমি আর স্বর্ণা সাঁতার জানি না, বাকিরা বেশ দক্ষ সাঁতারু। তাই ওরা মোটামুটি হই হুল্লোড় করতে করতে শেষ ঢেউ পর্যন্ত চলে গেলো। আর আমি মনের ভয় জয় করতে না পেরে দ্বিতীয় ঢেউ পর্যন্ত আটকে রইলাম। একটু পরপর মাথা চুবিয়ে ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম কারণ শরীর পানিতে ডুবে থাকলেও চাঁদি তো প্রখর রোদে তেঁতে আছে। সবাই কোনো না কোনো সময় লবণাক্ত পানি খেলাম। এমন লবণ যে মরার আগ পর্যন্ত আয়োডিনের চাহিদা পূরণ হয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে। একটু পর একজন উঠে ব্যাগ পাহারা দিতে গেলে রসি নামলো। এভাবে পালা করে চারজন সমুদ্রস্নান শেষ করলাম। কোনদিক দিয়ে তিন ঘণ্টা পার হয়ে গেছে, টেরই পাইনি। কিন্তু এখনো অঝর আর স্বর্ণা বিচে এলো না বলে একটু দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়লাম। ওরা কি হোটেলে ঘুমাচ্ছে নাকি? নাকি অন্য কোথাও বেড়াতে গেছে? আমাকে আর অংকনকে বসিয়ে রেখে প্রিন্স আর রসি স্কুটি নিয়ে হোটেলের দিকে গেলো। ওদের দুইজনকে নিয়ে আসবে বিচে।

বসে থাকতে থাকতে হকারের জ্বালায় অস্থির হয়ে গেলাম। হাতে পায়ে মেহেদি লাগানো, পেডিকিওর মেনিকিওর করা, ফ্রেন্ডশিপ বেল্ট বিক্রি, আইসক্রিম বিক্রি ইত্যাদি কতো লোভ যে আমাদের দেখানো হল! কিন্তু আশ্চর্য, ৪৫ মিনিট পরে শুধু প্রিন্স আর রসিই ফেরত এলো। কাহিনী কী? দুঃখে হা হা করে হাসতে হাসতে দুজনে যা বলল তার মর্মার্থ হল, বালিতে সব রাস্তা একমুখী। এই কথাটা কেউই জানতো না। তাই প্রিন্স ভেবেছিলো, যে পথে আমরা বিচে এসেছি, সে পথটা সে চিনে চিনে হোটেলে যেতে পারবে। কিন্তু রাস্তায় বের হওয়ার পর দেখে আরেক রাস্তা দিয়ে হোটেলে যেতে হবে। এদিকে পথচারীরা বুঝে না ইংরেজি। ফলে একেকজন একেকদিকে দেখাচ্ছে হোটেলের ঠিকানা, আর ৪৫ মিনিট ধরে একই জায়গায় ঘুরপাক খেতে খেতে দুজনে রেগে কাই হয়ে ফিরে এসেছে বিচে। আবার পারকিং ফি দিতে হয়েছে ৫০০০ রুপিয়া। যা হোক, এক ঘণ্টা বাকি থাকতেই আমরা চেয়ার ছেড়ে দিলাম। ফিরে যাবো হোটেলে। এরপর ছয়জন একসাথে ঘুরতে বের হবো। তো, ফুটপাথে নেমে স্কুটি ভাড়া করার জন্য মুলামুলি শুরু করলাম। উল্লেখ্য, এখানে ভাড়া করতে গেলে সবকিছুতেই মুলাবেন। আমি আর প্রিন্স – দুজন দুই স্কুটিতে উঠবো আর চালকেরা চালিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু এই কাজের জন্য একেকজন ২০০০০ করে চাচ্ছে। উবারে যেহেতু মাত্র ২০০০০ রুপিয়া করে এসেছি, তাই দুই স্কুটিতে ৪০০০০ দিতে মন সায় দিচ্ছিল না। কিন্তু কেউই কমাচ্ছে না। অবশেষে একটা স্কুটিতেই দুজনে উঠলাম। চালকসহ হল তিনজন। ৩০০০০ রুপিয়াতে বনিবনা হল।

হোটেলে ফেরার পথ দেখে হকচকিয়ে গেলাম। এমন ঘুরপথে আমাদের আসতে হল যে, অন্তত সাতদিন এই রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়া না করলে মনে রাখা দুরূহ। হোটেলে এসে দেখি, অঝর আর স্বর্ণাও কুটা বিচ থেকে পা ভিজিয়ে মাত্র রুমে এসেছে। কিন্তু ওরা গেছে বিচের আরেক সাইডে, ফলে আমাদের সাথে দেখা হয়নি। সবাই মিলে প্ল্যান করতে বসলাম, এখন কোথায় যাওয়া যায়। ঘড়িতে বাজে বিকেল পাঁচটা। কাছে পিঠে নামকরা বিচ বলতে নুসা দুয়া, সানুর আর সেমিনিয়াক বিচ আছে। জিপিএসে দেখলাম সানুর আর নুসা দুয়া কুটা থেকে বেশ দূরে। আমরা যদি স্কুটি চালিয়ে যাই, তাহলে অনেক সময় লাগবে। একে তো আমরা রাস্তা চিনি না, তার উপর অংকন মাত্র আজকেই স্কুটি চালানো শিখল। ওকে দ্রুত চালাতে দেওয়া যাবে না। ফলে এই দুটো বিচ বাদ পড়লো। বাকি থাকলো সেমিনিয়াক, যেটা অপেক্ষাকৃত কাছে। ফলে আমরা কেএফসি এবং বিএফসির ইন্দোনেশীয় আত্মীয় DFC-তে ঢুকে স্পাগেত্তি, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, বিফ বারগার, আইস টি, কোক খেয়ে পেট ভরিয়ে রওনা দিলাম।
রাতের সেমিনিয়াক বিচ
কুটা থেকে সেমিনিয়াক যাওয়ার স্কুটি টুরটা আমার জোশ লেগেছে। মেইন রোড ধরে সাঁই সাঁই করে ছুটে চলেছি, জ্যামের নাম গন্ধ নেই। শুধু সিগন্যালে যা থামতে হচ্ছে আর কি। অংকন দিব্যি চালাচ্ছে। যে ভয়টা ওকে নিয়ে সবাই পাচ্ছিলাম, সেই টেস্টে সে উৎরে গেছে। আমাদের সামনে অঝরের স্কুটি, পেছনে রসির। অর্থাৎ পুরো ভিয়াইপি প্রটোকল দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অংকনের স্কুটিকে। যেতে যেতে পথে সূর্য ডুবল, অন্ধকার হয়ে গেলো কুটার রাজপথ। জিপিএস দেখে দেখে আমরা অলি গলি পেরিয়ে ছোট্ট একটা রাস্তায় এসে পড়লাম। আবাসিক এলাকার ভেতর দিয়ে রাস্তাটা সেমিনিয়াক বিচ পর্যন্ত চলে গেছে। রাস্তা শেষ হতেই ধক করে সমুদ্রের হাওয়া এসে শরীরে লাগলো। আহ! বিচেই স্কুটি পার্ক করে আমরা নেমে পড়লাম অন্ধকারাচ্ছন্ন বিচে। কেউ নেই এদিকটায়। একটু ভয় পেলাম ছিনতাইকারী আছে কিনা ভেবে। কিন্তু চোখে অন্ধকার সয়ে আসতেই দেখি বেশ কয়েকজন টুরিস্ট হাঁটাহাঁটি করছে একটু দূর দিয়ে। বুঝলাম, এখানে এসে বাংলাদেশের মত সন্দেহবাতিকগ্রস্ত হলে চলবে না। এখানে পর্যটকদের জন্য নিরাপদ স্বর্গ বানিয়ে রেখেছে। সাথে করে নিয়ে এসেছি বিন্তাং বিয়ারের বিভিন্ন ফ্লেভার। বিচে বসে সবাই বিয়ারে চুমুক দিতে দিতে আড্ডা মারতে লাগলাম। উপরে কালো আকাশের বুকে অসংখ্য নক্ষত্র, কালপুরুষ, সপ্তর্ষি… আর নিচে মৃদু গর্জে উঠা সমুদ্র। কয়েকশ গজ দূরে একটা আলোকোজ্জ্বল বিচ রিসোর্ট থেকে গানের দুর্বল আওয়াজ ভেসে আসছে। বুঝা যাচ্ছে, সেটা একটা হ্যাপেনিং প্লেস। কিন্তু আমরা আমাদের মত উপভোগ করতে লাগলাম খোলা আকাশের নিচে রাতের সমুদ্র সৈকত।

অনেকক্ষণ উদাস হয়ে থাকার পর টনক নড়ল, উঠতে হবে। আগামীকাল বিশাল বড় প্ল্যান। আজ সারারাত জেগে কাটাতে কাল আর দেখতে হবে না! তাই বিয়ারের খালি বোতলগুলো হাতে নিয়ে আমরা হাঁটতে হাঁটতে হ্যাপেনিং প্লেসের দিকে এগুতে লাগলাম। জায়গাটা দেখে আসি। লাইভ মিউজিক হচ্ছে কিনা, সেটাও একটা কৌতূহলের বিষয়। নাহ, গান ছেড়েছে সিডিতে। আর একটু পর শুরু হল আতশবাজি ফুটানো। রঙিন ঝলমলে আতশবাজির খেল দেখলাম বেশ কিছুক্ষণ। এরপর কয়েকটা ফানুস উড়ানো দেখে ফিরে এলাম স্কুটির কাছে। গন্তব্য হোটেল।
হোটেলের কাছে এসে দেখি খাবারের খুচরো দোকানগুলো সব বন্ধ হয়ে গেছে। কুটা সেন্ট্রাল যদিও সারারাত জেগে থাকে, কিন্তু ভেতরের দিকের দোকানপাটগুলো দশটার দিকেই ডালা ফেলে দেয়। ফলে খাওয়ার জন্য এখন কুত সেন্ট্রালে যাবো কিনা ঠিক করতে করতে দেখি একটা ভ্যানে তখনও নাসি গোরেং, মি গোরেং তৈরি করছে। ধর্না দিলাম সেখানে। পাশের ভ্যানেই তাজা ফল নিয়ে বসে আছে সুন্দর এক তরুণী। মি গোরেং আর ফলের জুস অর্ডার দিলাম। খুবই সস্তায় পেলাম খাবার এবং স্বাদও একটু খারাপ লাগলো। সস্তার তিন অবস্থা আর কি। খেয়ে যে যার রুমে ফেরত এলাম। ঘুমানোর আগে মিঃ মারুদুতের সাথে কথা বলে ঠিক করলাম, আগামীকাল ১১ ঘণ্টার জন্য উনাকে হায়ার করবো। সকাল ৯ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত। যেতে হবে অনেক জায়গায়। নুসা দুয়া, উলুয়াটু মন্দির, ব্লু পয়েন্ট বিচ, জিম্বারান বিচ। জায়গাগুলো বেশ দূরে দূরে বলে অভিজ্ঞ ড্রাইভার ছাড়া ঘুরতে মন সায় দিচ্ছিল না। তখনও অবশ্য জানতাম না, আর কী কী বিস্ময় অপেক্ষা করছে ছয়জনের দলটার জন্য!