আমি নির্ঝর রুথ। লেখালেখি করতে পছন্দ করি। খুব বেশিই পছন্দ করি। ইংরেজিতে যাকে ‘প্যাশন’ বলে, লেখালেখিটা আমার কাছে তাই। চেষ্টা করি লেখার অভ্যেস ধরে রাখতে, কিন্তু কাজের দোহাই দিয়ে লেখালেখিতে ঢিলে দিই প্রায়। তারপরও স্বপ্ন দেখি একদিন বই আকারে বের হবে আমার কোনো লেখা। ভ্রমণ কাহিনী, নিত্যদিনের করচা, বা উপন্যাস।
(আগস্ট ২০১৮) বর্তমানে আছি যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইস বিশ্ববিদ্যালয়ে, পড়ছি মাস্টার্সে। বাংলাদেশের গার্হস্থ্য অর্থনীতি মহাবিদ্যালয় থেকে খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞানে একখানা অনার্স আর মাস্টার্স বগলদাবা করার পরও দ্বিতীয় মাস্টার্সের পিছে ছুটছি। এবার মেজর কিছুটা ভিন্ন। পুষ্টি এবং পথ্য। আশা করি খুব দ্রুত মাস্টার পাশ দিয়ে ফেলতে পারব। এরপরের গন্তব্য অজানা। তবে লেখালেখি চলবেই…
হালনাগাদ তথ্য ১ (ডিসেম্বর ৪, ২০২০)ঃ মাস্টার পাশ দিয়ে ফেলেছি। চাকরি করছি পেন্সিল্ভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলার শহরে। তিন মাস হল চাকরিতে ঢুকেছি। ঢোকার আগে ভেবেছিলাম আটটা-চারটা চাকরি করে প্রচুর সময় পাব, লিখে ফাটিয়ে ফেলব। বাস্তব হল, বাসায় ফিরে ঢুলতে থাকি, এক গামলা ভাত খেয়ে শুয়ে পড়ি। মাঝেমধ্যে লেখার খাউশ উঠে। তখন হয়ত বিশাল গল্পের এক পর্ব লিখে ঝুলিয়ে রাখি। জীবন যেখানে যেমন…
হালনাগাদ তথ্য ২ (আগস্ট ৩০, ২০২১)ঃ চাকরি বাকরি ছেড়ে চলে এসেছি টেক্সাসে। ভর্তি হয়েছি টেক্সাস এঅ্যান্ডএম বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি বিভাগে। যারা চোখ উল্টে ভাবছেন, ‘আবারও লেখাপড়া?’, তাদের বলছি, ‘বিশ্বাস করুন, এবার আর মাস্টার্সে নয়। ভর্তি হয়েছি পিএইচডিতে যেটা ছিল আমার সবসময়ের প্যাশন।’ গবেষক হতে চাই। তাই পিএইচডির চেয়ে ভালো রাস্তা খুঁজে পেলাম না। যদিও ইয়ে দিয়ে লাল সুতো বের হচ্ছে, তবুও লেখালেখি চলবেই…
হালনাগাদ তথ্য ৩ (এপ্রিল ২৭, ২০২৫)ঃ পিএইচডি পাশ দিয়ে ফেললাম রে, কালিয়া! তিন বছর নয় মাসের কাপঝাঁপ শেষ হল এপ্রিলের ২৩ তারিখে ডিজার্টেশন ডিফেন্স করার মাধ্যমে। এবারের গন্তব্য হিউস্টন শহর। হ্যাঁ, টেক্সাসেই থাকছি আগামী এক বছর। পোস্টডক্টরাল ফেলোশিপ পেয়েছি এক কর্কট রোগ গবেষণা কেন্দ্রে। এটা পূর্ণকালীন চাকরি এবং চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে আঠারো ঘণ্টা কাজ করার বালাই নেই। তাই লেখালেখি চলবে…ধুন্ধুমার…